ঐ উজানের নিস্তব্ধতায় রজনী শিথীল কালে
চন্দ্র তারা রাত্রি প্রহরে রূপালি আলো জ্বালে
সেই আলোর কোমলতায় মনে সুখের আবাহন
সেই স্নিগ্ধ আলোতেই করি সুখের অবলোকন।
রিক্ত শিরে নতমস্তকে তাকে আমার প্রণাম,
হয়তো কভু অর্জিত হবে এতে তাহার সুনাম।
চন্দ্র তারার ঝিকিমিকি খেলায় করিনু সমর্পণ,
নিজের প্রকৃত পরিচয় জানতে রাখিব দর্পণ।
সে দর্পণে দেখতে পাই সব যেন লাগে নতুন,
উল্টো জগত উল্টো সবই সবার অবস্থা করুণ।
যদি পারতাম যেতে সে দর্পণ রাজ্যে,
হয়তো কোনো এক অপ্রয়োজনীয় কার্যে।
পাল্টে দিতাম সব নিয়ম জগতের,
পরোয়া করতাম না কাহারো মতের।
হতাম আপন রাজ্যের রাজা,
নিজেকে ব্যতীত সকলকেই দিতাম নানা সাজের সাজা।।
-সৌমাদ্রী পাল।
