নিঃস্বঙ্গ রাত

রাত হলো খুব,ঘুম যে আসে না,কি যে আমি করি,
চেয়ে আছি আকাশপানে,হয়ে নিঃস্তব্ধ রাত্রির প্রহরী।
জেগে নেই কেউ,সকলে ঘুমিয়ে,প্রকৃতি খুব শান্ত,
চেয়ে আছি আমি ঘড়ির কাটায়,নেই কি এই রাতের কোনো অন্ত।
কেউ কি জেগে নেই আমার সাথে,খুঁজছি হয়ে আনমনা,
কেউ যেন বললো,দাঁড়াও খোকা,আর এগিয়ে যেও না।
পেছন ফিরে দেখি ডাকছে আমায়,আকাশের চাঁদ মামা,
গোলগাল সে রূপালী রাঙা, পড়নে নেইকো জামা।
বললো মোরে,বসো না খোকা,গল্প হবে খুব,
ধপাস করে বসলাম আমি,আওয়াজ হলো ধুপ্।
গল্প চলছে একের পর এক,তবু সময় কাটে না,
হঠাৎ দেখি চাঁদ মামা আর কথা যে বলে না।
রাতের প্রহরী ঘুমিয়ে পড়েছে,রাত কে কে দেয় পাহারা?
সকাল বেলা সূয্যিমামা কে ডেকে আনবে কাহারা?
চোখ বুঁজে ভাবছি আমি,রাত টা কেমনে কাটাই,
কার কাছে কই মনের কথা,কেউ তো জেগে নাই।
হঠাৎ আমার চোখ খুললো,দেখি সূর্য উঠেছে,
কুঞ্জবনে থোকায়-থোকায় নতুন ফুল ফুঁটেছে।
কেটে গেছে এক নিঃস্বঙ্গ রাত,চাইলাম ঐ আকাশে,
ভয় হলো যদি সেই রাত খানা,আবার ফিরে আসে।।

-সৌমাদ্রী পাল।

Published by Soumadri Paul

Fictional Writer & Poet

Leave a comment

Design a site like this with WordPress.com
Get started